বাংলা ভাষায় যতিচিহ্ন
(Punctuation in Bengali)
আমরা মনের অভিব্যক্তিগুলো প্রকাশ করে থাকি কথার মাধ্যমে। নানা ভঙ্গিতে, মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে। এই অভিব্যক্তিগুলো যখন লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই তখনও প্রয়োজন হয় এই বিরতির। কোন জায়গায় বিরতি বা থামার ভঙ্গিটি কেমন হবে তা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করতে হয় বিভিন্ন চিহ্ন বা প্রতীক।
বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করার জন্যও বাক্যের মাঝে ও শেষে বিরতি দিতে হয়। বিরতির পরিমাণ প্রয়োজন অনুযায়ী কম-বেশি হয়ে থাকে।
আবার বাক্য উচ্চারণের সময় আবেগের ভিন্নতার কারণে উচ্চারণ বিভিন্ন হয়ে থাকে। বাক্যটি লেখার সময় এই বিরতি ও আবেগের ভিন্নতা প্রকাশ করার জন্য যেই চিহ্নগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে বিরাম চিহ্ন, যতি চিহ্ন বা ছেদ চিহ্ন বলে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা সাহিত্যে বিরাম বা যতি চিহ্নের প্রবর্তক। প্রাচীন বাংলায় মাত্র দুইটি বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করা হতো, দাঁড়ি (।) ও দুই দাঁড়ি (।।) পরবর্তীতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর ইংরেজি ভাষার অনুকরণে বাংলায় আরো অনেকগুলো বিরাম চিহ্ন প্রচলন করেন।
বাংলা ভাষায় প্রায় ২০টি যতিচিহ্ন ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন–
- কমা বা প্রথম ছেদ ( , )
- সেমিকোলন বা দ্বিতীয় ছেদ ( ; )
- দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ (।)
- জিজ্ঞাসা চিহ্ন ( ? )
- বিস্ময়চিহ্ন ( ! )
- কোলন ( :)
- কোলন ড্যাশ ( :-)
- ড্যাশ ( – )
- হাইফেন ( - )
- সমান চিহ্ন ( = )
- উদ্ধরণ চিহ্ন এক ( ' ' )
- উদ্ধরণ চিহ্ন দুই ( " " )
- এক বিন্দু ( . )
- উর্ধ্ব কমা ( ' )
- প্রথম বন্ধনী ( )
- দ্বিতীয় বন্ধনী { }
- তৃতীয় বন্ধনী [ ]
- বিকল্প চিহ্ন ( / )
- ত্রিবিন্দু ( ... )
- দু’দাঁড়ি (।। )
0 Comments