বেফাকের প্রশ্ন-উত্তর। মিশকাত। কবীরা গুনাহের অধ্যায় থেকে

 

মিশকাত। বেফাকের প্রশ্ন-উত্তর

বেফাকের প্রশ্ন-উত্তর। মিশকাত। কবীরা গুনাহের অধ্যায় থেকে

💖 ৫৫/৫৬ নং হাদীস

☆ وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول اللہ ﷺ : آية المنافق ثلاث : زاد مسلم وإن صام وصلى وزعم أنه مسلم. ثم اتفقا إذا حدث كذب وإذا وعد أخلف وإذا اؤتمن خان. (صـ١٧)

☆ وعن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما قال قال رسول اللہ ﷺ : أربع من كن فيه كان منافقا خالصا ومن كانت فيه خصلة منهن كانت فيه خصلة من النفاق حتى يدعها، إذا اؤتمن خان وإذا حدث كذب وإذا عاهد غدر وإذا خاصم فجر. (صـ١٧)

🔹ادفع التعارض بين الحديث الثاني والثالث وأوضح الفرق بين الوعد والعهد ثم عين مرجع ضمير "اتفقا" في قوله ثم "اتفقا" 

🔹أوضح الفرق بين الوعد والعهد ثم عَيِّنْ ضميرَ "اتفقا" في قوله "ثم اتفقا"

🔹

—----------------------------------------

🔶 ادفع التعارض بين الحديث الثاني والثالث وأوضح الفرق بين الوعد والعهد ثم عين مرجع ضمير "اتفقا" في قوله ثم "اتفقا" 

🔷 দুই হাদিসের মত বিরোধ নিরসন

🔹১. প্রথম হাদীসে মুনাফিকের আলামত তিনটি এবং দ্বিতীয় হাদিসে চারটি বলা হয়েছে সুতরাং বেশি সংখ্যা কম সংখ্যার পরিপূরক। অতএব দুই হাদীসের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।

🔹২. মুনাফিকের আলামত বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম বলেছেন। কাজেই যিনি যে রকম শুনেছেন। তিনি সে রকম বর্ণনা দিয়েছেন

🔹৩. সংখ্যা বর্ণনায় কম-বেশির বিভিন্নতা কোনো অসুবিধা জনক নয়। কারণ, কম সংখ্যা বেশি সংখ্যার মাঝেই শামিল রয়েছে। 

🔹৪. হাদীসে উন্নিখিত সংখ্যা বর্ণনা উদ্দেশ্য নয়, বরং দ্দেশ্য এ কথা বুঝানো যে, মুনাফিকের আলামত অনেক। তন্মধ্যে উল্লিখিত ৩/৪টি প্রসিদ্ধ।

🔹৫. প্রথম হাদীসটি পূর্বের যাতে তিনটির কথা এসেছে। আর দ্বিতীয় হাদিসটি পরের যাতে চারটির কথা এসেছে। সুতরাং কোন বৈপরীত্য নেই।

🔹৬. হয়তো বর্ণনাকারীদের শোনার ভুল হয়েছে তাই দুই রকম বর্ণনা এসেছে।


🔶 أوضح الفرق بين الوعد والعهد ثم عَيِّنْ ضميرَ "اتفقا" في قوله "ثم اتفقا" 

🔷 وعد ও عهد -এর মধ্যে পার্থক্য 

🔹عهد তথা অঙ্গীকার বলা হয় যা উভয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয়। এবং যার উপর উভয়ে অটল থাকা জরুরি হয়। আর وعد বলা হয়, যা এক পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। 


অর্থাৎ, عهد হলো خاص আর وعد হলো عام। মোটকথা, প্রতিটি عهد 'ওয়াদা'র মাঝে অন্তর্ভুক্ত হবে । কিন্তু প্রতিটি ' ওয়াদা ' عهد-এর অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে। 


🔷 ضمير-এর مرجع নির্ণয় 

🔹উল্লিখিত اتفقا শব্দটির ضمير ফিরেছে বুখারী ও মুসলিম শরীফের দিকে।


💖 ৫৫/৫৭ নং হাদীস

☆ عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنه أن النبي ﷺ قال : « أربع من كن فيه كان منافقا خالصا ومن كانت فيه خصلة منهن كانت فيه خصلة من النفاق حتى يدعها إذا اؤتمن خان وإذا حدث كذب وإذا عاهد غدر وإذا خاصم فجر.(صـ١٧)

☆ عن ابن عمر رضي الله عنه عن النبي ﷺ قال : « مثل المنافق كمثل الشاة العائرة بين الغنمين تعير إلى هذه مرة وإلى هذه مرة.(صـ١٧)

🔹بين التشبيه في قوله ﷺ مثل المنافق كالشاة العائرة.

🔹"أربعٌ" في أي محل من الإعراب وما تميزه؟

—-------------------------------------------

🔶 بين التشبيه في قوله ﷺ مثل المنافق كالشاة العائرة. 


🔷 مثل المنافق كالشاة العائرة -এর ব‍্যাখ‍্যা

🔹উক্ত হাদীসে মহানবী মুনাফিকদেরকে كالشاة العائرة-এর সাথে তুলনা করেছেন। كالشاة العائرة বলা হয়, এমন ছাগী বা ভেড়াকে, যে যৌন কামাসক্ত হয়ে ডাকাডাকি ও ছুটাছুটি করতে থাকে। এরূপ পশু সাধারণত অস্থিরচিত্ত হয়ে পড়ে। সে একবার এ ছাগলের নিকট, আরেকবার অন্য ছাগলের কাছে ছুটে বেড়ায়। তার মধ্যে কোনোরূপ স্থিরতা লক্ষ্য করা যায় না। ধর্ম বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মুনাফিকগণ অনুরূপ বানডাকা ছাগীর ন্যায়। তারা কখনো নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেয়। আবার কখনো মুশরিকদের দলে ভিড়ে যায়।


🔶 "أربعٌ" في أي محل من الإعراب وما تميزه؟

🔷 محل إعراب নির্ণয়

🔹 أربعٌ শব্দটি মুবতাদা হিসেবে মারফু হয়েছে। তার তমীয হল– خصال



💖 ৬৪ নং হাদীস

☆ عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : جاء ناس من أصحاب رسول اللہ ﷺ إلى النبي ﷺ فسألوه إنا نجد في أنفُسنا ما يتعاظم أحدنا أن يتكلم به. قال : «أوقد وجدتموه» قالوا : نعم ، قال : « ذاك صريح الإيمان» (صـ١٨)

🔹أوضح قوله : عليه السلام "ذاك صريح الإيمان"

🔹علامَ عُطِفَ قوله عليه السلام : "قد وجدتموه" في قوله : أوقد وجدتموه.

--------------------------------------------

🔶  أوضح قوله : عليه السلام "ذاك صريح الإيمان"

🔷 ذاك صريح الإيمان -এর ব‍্যাখ‍্যা:

১. আল্লামা তুরপুশতী রহ. বলেন- ذاك দ্বারা পূর্বের বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে অর্থাৎ আমাদের অন্তরে কু - মন্ত্রণা আসে, যা মুখে প্রকাশ করাকে আমরা অত্যন্ত খারাপ মনে করি। তাই তা বিশ্বাস করার তো প্রশ্নই আসে না। এ খারাপ মনে করাকেই হাদীসে (স্পষ্ট ঈমান) বলা হয়েছে। কেননা, এগুলোকে বাতেল বলে বিশ্বাস করা আল্লাহকে ভয় করারই নামান্তর। কারণ তাঁদের মনে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে একমাত্র আল্লাহকে ভয় করার কারণেই। অতএব এটাই হলো নিখুঁত ঈমান। 


২. ذاك দ্বারা শুধু কুমন্ত্রণার দিকে ইশারা করা হয়েছে। কারণ শয়তান কাফেরদের ব্যাপারে অবসর নিয়েছে। পক্ষান্তরে মুমিনদের আসল পুঁজি হলো ঈমান। শয়তান কখনো তা ক্রয় করতে পারেনি , তাই তাদের ক্ষতি করতে সবসময় তার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। এজন্যই তাদের মনে কু - মন্ত্রণা দিতে থাকে। অতএব , মনে কুমন্ত্রণা আসাই হলো ঈমানের স্পষ্ট দলিল। এক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ এ উদাহরণটি ধরে নেওয়া যেতে পারে- ' চোর খালি ঘরে প্রবেশ করে না , ধনীর ঘরেই প্রবেশ করে। অতএব , মুমিনের মনের ঘরে ঈমানের সম্পদ থাকায় শয়তানরূপী চোর অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। কাজেই وسوسة বা মনের কুমন্ত্রণা হওয়াটা হলো ঈমান থাকার দলিল।


🔶 علامَ عُطِفَ قوله عليه السلام : "قد وجدتموه" في قوله : أوقد وجدتموه. (صـ١٨)

🔷 معطوف إليه নির্ণয়

🔹এ বাক‍্যটির معطوف إليه ঊহ‍্য আছে। তা হল– أحْصل ذلك


💖 ৯০ নং হাদীস থেকে

☆ عن أبي هريرة رضي الله عنه كان يحدث قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : « ما من مولود إلا يولد على الفطرة فأبواه يهودانه أو ينصرانه أو يمجسانه كما تنتج البهيمة بهيمة جمعاء هل تحسون فيها من جدعاء ثم يقول أبو هريرة رضي الله عنه ( فطرة الله التي فطر الناس عليها ) الآية ٭ ( متفق عليه ) 

--------------------------------------------

🔶 أوضحِ التشبيه في قوله : عليه السلام "كما تُنْتَجُ البهيمةُ" (صــ٢١)

🔷 كما تُنْتَجُ البهيمةُ-এর মধ্যে বিদ্যমান উপমা বিশ্লেষণ

🔹এ বাক্য দ্বারা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য একটি উদাহরণ পেশ করে বুঝাতে চাচ্ছেন , একটি চতুস্পদ জন্ত যেমনিভাবে তার বাচ্চাকে ত্রুটিমুক্তভাবে প্রসব করে থাকে, কিন্তু পরিবেশ বা মানুষের লালন - পালনের ত্রুটির কারণে পরবর্তীতে সেটি ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায় । অনুরূপ মানুষের সুস্থ অঙ্গবিশষ্ট পূর্ণাঙ্গ একটি বাচ্চা যখন জন্ম নেয় তখন তার মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকে না, এমনকি তার কানও কাটা থাকে না। কিন্তু পরবর্তীতে লোকেরা ভুত ছাড়ার নাম করে তার কান কেটে ফেলে। তাহলে এ বাচ্চাটি জন্মগতভাবে ছিল সঠিক ও সুস্থ। পরে লোকেরা তাকে ত্রুটিপূর্ণ বানিয়ে দিল। এভাবে মানুষও জন্মগতভাবে সঠিক -এর অধিকারী হয়। তারপর পরিবেশ তাকে নষ্ট করে দেয়।


💖 ১১২ নং হাদীস

☆ عن ابن مسعود قال قال رسول الله الوائدة والموءودة في النار (صــ٢٣)

🔹أوضح هذا الحديث

🔷 জাহেলী যুগে আরবের লোকেরা কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়াকে দারিদ্র ও লজ্জার কারণ বলে মনে করত , তারা দারিদ্র্য ও লজ্জা হতে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে তাদেরকে জীবন্ত কবর দিত, এই কু-প্রথা দীর্ঘদিন থেকে চলছিল উল্লেখিত কু-প্রথা নির্মূল করার লক্ষ্যেই রাসূলুল্লাহ রুদ্র উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

🔹জীবন্ত দাফনকৃতাকে শাস্তি দেওয়ার যৌক্তিকতা : 

☆ আলোচ্য হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে , দাফনকারিণী ও জীবন্ত কবরস্থ উভয়ই জাহান্নামে যাবে , এখন প্রশ্ন হলো যে , জীবন্ত দাফনকারিণী তো তার কুকর্মের কারণে জাহান্নামে যাবে । কিন্তু জীবন্ত কবরস্থ কেন জাহান্নামে যাবে ? এর জবাব সম্পর্কে হাদীস বিশারদগণ নিম্নোক্ত মতামত পেশ করেছেন 

১. দাফনকারিণী কুফরি কর্মের কারণে জাহান্নামে যাবে । আর দাফনকৃতা তার পিতা-মাতার অনুগামী হয়ে জাহান্নামে যাবে। এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী হাদীসটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুশরিকদের সন্তানরা জাহান্ন যাবে।

২. অথবা দাফনকারিণী দ্বারা উদ্দেশ্য ধাত্রী আর দাফনকৃতা দ্বারা উদ্দেশ্য المَوْؤٗدَةُ لها অর্থাৎ, দাফনকৃতার মা। যেহেতু দাফনকার্যে তারা উভয়েই অংশীদার তাই উভয়েই জাহান্নামে যাবে। কেননা ধাত্রী মায়ের নির্দেশেই সন্তানকে দাফন করেছে। 

৩. অথবা রাসূলুল্লাহ -এর উপরোক্ত উক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে , দাফনকৃতা মেয়েটি বালেগা হওয়ার পরে কুফরি অবলম্বন করার কারণে জাহান্নামে যাবে। এ ব্যাখ্যা হিসেবে য়েদেরকে বালেগা হওয়ার পর জীবন্ত গোরস্থ করা হতো বলে মেনে নিতে হবে।


💖 ১৩৪ নং হাদীস

عن أبي سعيد الخدري عنه قال قال رسول الله ﷺ : « يسلط على الكافر في قبره تسعة وتسعون تِنِّينا تنهشه وتلدغه حتى تقومَ الساعةُ ولو أن تِنِّيْنًا في الأرض ما أنْبتتْ خَضِرًا. رواه الدارمي وروى الترمذيُّ نحوه وقال : (سبعون بدل تِسعة وتسعون) (صـ٢٦)

🔹اِدْفَعِ التعارض بين رِواية الدَّارمي ورواية الترمذي

--------------------------------------------

🔶 اِدْفَعِ التعارض بين رِواية الدَّارمي ورواية الترمذي (صـ٢٦)

🔷 দারেমী ও তিরমিযীর বর্ণনায় বিদ্যমান দ্বন্দ্ব নিরসন

🔹আলোচ্য হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, কাফেরদের জন্য কবরে ৯৯ টি সর্গ নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তিরমিবীর বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায় যে, সর্প হবে ৭০ টি।

সমাধান–

☆ ১. ইমাম গাযালী রহ. বলেন, মানুষের মধ্যে অনেক কু-অভ্যাস রয়েছে, যার সংখ্যা ৯৯ টি । তবে সামঞ্জস্য বিদ্যমান থাকার কারণে কোনো কোনোটিকে অন্যটির অন্তর্ভুক্ত করলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০ টি । আর এ কারণেই দু'বর্ণনায় দুটি সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

☆ ২. এখানে ৯৯ বা ৭০ দ্বারা নির্দিষ্ট কোনো স‍্যাংখ‍্যা উদ্দেশ্য নয়। বরং আধিক্য বর্ণনা করা উদ্দেশ্য।

☆ ৩. কাফেরদের অবস্থার বিভিন্নতার দিকে দৃষ্টি রেখে কখনো ৭০ আবার কখনো ৯৯ -এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

☆ ৪. কম সংখ্যা বেশি সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত তাই উভয় বর্ণনার মধ্যে বিরোধ থাকে না। 

☆ ৫. রাসুলুল্লাহ প্রথম অবগতির আলোকে ৭০ টি এবং পরে ওহীর মাধ্যমে ৯৯ টির কথা বলেছেন।


💖 ১৩৬ নং হাদীস

☆ عن ابن عمر رضي الله عنه عن رسول الله ﷺ قال هذا الذي تحرك له العرش وفتحت له أبواب السماء وشهده سبعون ألفا من الملائكة لقد ضم ضمة ثم فرج عنه. (صـ٢٦)


—---------------------------------

🔶 من السيد والداعي وما المأدبة (في حديث ربيعة).

🔹سيد দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহ্ তায়ালা।

🔹داعي দ্বারা উদ্দেশ্য মুহাম্মদ ﷺ।

🔹مأدبة দ্বারা উদ্দেশ্য জান্নাত।


💖 ১৪৮ নং হাদীস


🔶 قوله عليه السلام: فالنجاءَ النجاءَ في أيّ محل من الاعراب؟ (صـ٢٨)

🔷 فالنجاءَ النجاءَ-এর محل إعراب

🔹এটি انجو ঊহ‍্য ফেয়েলের মাফঊল হিসেবে নসবের স্থানে আছে।


💖 ১৪৯/১৭০ নং হাদীস

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول اللہ ﷺ : « إنما مثلي ومثل الناس كمثل رجل استوقد نارا فلما أضاءت ما حوله جعل الفراش وهذه الدواب التي تقع في النار يقعن فيها وجعل يحجزهنّ ويغلبنه فيقتحمن فيها فأنا آخذٌ بحُجَزِكم عنِ النّار وأنتم يقتحمون فيها. (صـ ٢٨)


 عن عمرو بن عوف رضـ قال: قال رسول اللہ ﷺ قال : « إن الدين ليأرز إلى الحجاز كما تأرز الحية إلى جحرها وليعقلنّ الدينُ  من الحجاز معقل الأروية من رأس الجبل، إن الدين بدأ غريبا وسيعود كما بدأ فطوبى للغرباء. (صـ٣٠)

—-------------------------------------------

( أ ) شكل الحديثين الآتيين ثم ترجمها


🔶 أوضح المشبه به في الحديث الأول

🔷 مشبه ও مشبه به -এর ব‍্যাখ‍্যাঃ

🔹প্রথম হাদীসে কীট - পতঙ্গকে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া থেকে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তির সাথ রাসূল উত্তর কে তুলনা করা হয়েছে। কেননা ঐ ব্যক্তির মতো রাসূল ও মানবজাতিকে আল্লাহর নাফরমানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান করেছে, যা জাহান্নামে প্রবেশের অন্যতম মাধ্যম । আর আগুনে ঝাপসাতা কীট-পতঙ্গের সাথে গুনাহগার ব্যক্তিকে তুলনা করা হয়েছে। কেননা তারাও কীট-পতঙ্গের মতো রাসুল সা. -এর বাধা না শুনে আল্লাহর নাফরমানি করে যাচ্ছে।


💖 ১৫০ নং হাদীস

☆ عن أبي موسى عن النبي ﷺ قال : « مثل ما بعثني الله به من الهدى والعلم كمثل الغيث الكثير أصاب أرضا فكان منها طائفة طيبة قبلت الماء فأنبتت الكلأ والعشب الكثير وكانت منها أجادب أمسكت الماء فنفع الله بها الناس فشربوا وسقوا وزرعوا وأصاب منها طائفة أخرى إنما هي قيعان لا تمسك ماء ولا تنبت كلأ فذلك مثل تن قفة في دين الله ونفعه ما بعثني الله به فعلم وعلم ومثل من لم يرفع بذلك رأسا ولم يقبل هدى الله الذي أرسلت به. (صـ٢٨)

🔹أوضح الممثل والممثل له إيضاحا تامّا. 

🔹قوله : هدى الله الذي أزيلت به ، ما مصداق هدى الله؟

-------------------------------------------

🔶 أوضح الممثل والممثل له إيضاحا تامّا. (صـ٢٨)

🔷 ممثل ও ممثل له -এর পূর্ণ ব‍্যাখ‍্যা

🔹 এ হাদীসে ইলমে ওহীকে غيث كثير-এর সাথে তাশবীহ দেওয়া হয়েছে। 

إنْسان-কে أرض -এর সাথে উপমা দেওয়া হয়েছে। আর জমিন হলো তিন প্রকার ।


☆ ৩. طيِّبة অর্থাৎ ঐ জমিন যা পানিকে চুষে নেয় এবং এর থেকে যাস ও গাছপালা উৎপন্ন হয়। 

☆ ২. أجْداب ঐ শক্ত জমিন যা পানিকে চুষে নেয় না ; বরং আটকে রাখে এবং লোক এর দ্বারা ফায়দা লাভ করে ।

☆ ৩. قيعان অর্থাৎ ঐ জমিন যা পানিকে চুষেও নেয় না। আটকেও রাখে না । 


ইলমে ওহী গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও মানুষের হৃদয় তিন ধরনের।

 ১. মুজতাহিদ যারা ইলমে ওহী থেকে أصول مسائل কে استنباط করেন, যার দ্বারা লোকেরা উপকৃত হয়। 

২. মুহাদ্দিসগণ, যারা ইলমে ওহীকে স্বীয় সীনায় হেফাজত করে রাখেন এবং লোকদের নিকট পেশ করেন। 

৩. ঐ সমস্ত লোক যারা ইলমে ওহী শেখেনি। ইলমে ওহী থেকে নিজেরাও উপকৃত হয়নি অন‍্যকেও উপকার পৌঁছে নি।


🔶 قوله : هدى الله الذي أرسلتُ به، ما مصداق هدى الله؟

🔷 مصداق নির্ণয়ঃ

🔹هدى الله-এর مصداق হল– কুরআনুল কারীম।


💖 ১৬১ নং হাদীস

☆ عن ربيعة الجرشي يقول أتي النبي ﷺ فقيل له لتنم عينُك ولتسمع أذنك وليعقل قلبك قال فنامت عينايَ وسمعت أذناي وعقل قلبي قال فقيل لي سيِّدٌ بنى دارا فصنع مأدبة وأرسل داعيا فمن أجاب الداعي دخل الدار وأكل من المادية ورضي عنه السيد ومن لم يجب الداعي لم يدخل الدار ولم يطعم من المأدبة وسخط عليه السيد  (صـ٢٩)

--------------------------------------------

🔶 من المشار إليه لـ "هذا" في قوله هذا الذي تحرك له العرش

🔷 المشار إليه নির্ণয়

🔹আলোচ‍্য হাদীসে مشار إليه হল হযরত সাদ ইবনে মুয়ায রা.


💖 ১৭০ নং হাদীস থেকে 

🔶 أوضح قوله: عليه السّلام : "إن الدين بدأ غريبا وسيعود كما بدأ" (صـ٣٠)

🔷 রাসুল সা. -এর উক্তি إن الدين بدأ غريبا وسيعود كما بدأ "ধর্মের সূচনা হয়েছে অপরিচিত অবস্থায়। আর ধর্ম শীঘ্রই সূচনার অবস্থায় ফিরে যাবে" -এর ব্যাখাঃ


🔹ইসলামের শুরু জামানায় যারা ইসলামকে কবুল স্বীয় দীনের হেফাজতের জন্য মক্কা মদিনায় গিয়ে আশ্রয় নিবে। করেছিল, তাদেরকে স্বীয় জন্মভূমি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, এমনিভাবে আখেরি জামানায় যারা ইসলাম কবুল করবে, তারাও


🔶 من الغرباء؟ (صـ٣٠)

🔷 غرباء কারা? 

🔹غرباء হল: الذين يصلحون ما أفسد الناس مِن بعدِ النبي من السنة

(অর্থাৎ, সে সকল লোক যারা নবীজি সা.-এর ইন্তেকালের পর ছেড়ে দেওয়া সুন্নাতকে পুনঃ ঠিক করে নেয়।)


🔶 أوضح قوله : "فلو بثثتُه قطع هذا البُلْعومُ" 

🔷 আবু হুরায়রা রাযি. এর  উক্তির ব্যাখ্যা

🔹"সুতরাং যদি আমি তা খুলে বলি তাহলে এই গলা কেটে ফেলা হবে" -এর ব্যাখ্যা। 

☆ এ সম্পর্কে প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে, হযরত আবূ হুরায়রা রা. মহানবী হতে অবগত হয়েছিলেন যে, পরবর্তীকালে কুরাইশ গোত্র হতে এক ভয়াবহ ফেতনার সৃষ্টি হবে। তারা অনেক বিদ'আত প্রবর্তন করবে, এমন কি নবুয়তের শিক্ষা-দীক্ষাকে পরিবর্তন করে ফেলবে। মহানবী সা. তাদের নাম ঠিকানাও প্রকাশ করেছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা রা. তা ভালোভাবে জানতেন, কিন্তু নিজের জীবনের ভয়ে তা প্রকাশ করেননি। তাই তিনি অধিকাংশ সময় এ দোয়া পড়তেন- 

أعوذ بالله من رأس الستين وإمارة الصبيان

অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ঘাট সনের সমাপ্তি ও অল্প বয়স্ক লোকের শাসন হতে আশ্রয় চাই। 

এটা দ্বারা তিনি সম্ভবত ইয়াযিদের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করতেন। কেননা, ইয়াযিসের শাসন ক্ষমতা ষাট সনের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এটা প্রকাশ করলে লোকেরা ক্রোধান্বিত হয়ে তাকে হত্যা করত, এ জন্য তিনি এটা প্রকাশ করতেন না।


💖 ১৮৭ নং হাদীস

☆ وعن غضيف بن الحارث الثماليّ رضي الله عنه عنه قال : قال رسول اللہ ﷺ : (ما أحدث قوم بدعة إلا رُفِعَ مثلُها من السُنّة فتمسك بسنة خير من إحداث بدعة) صــ٣١

--------------------------------------------

🔶 اكتب معنى السنة والبدعة لغة وشرعا. (صـ٣١)


🔷 সুন্নাত ও বিদ'আতের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ

🔹سنّة আভিধানিক অর্থ 

☆ طريقة নিয়ম-পদ্ধতি

☆ سيرة চরিত্র 

☆ فطرة স্বভাব


🔹 পারিভাষিক অর্থে– 

☆ মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় সুন্নাত হলো-

ما أضيف إلى النبي صلى الله عليه وسلّم من قول او فعل او تقرير او صفة خلقية أو خلقية

অর্থাৎ, যেসব বিষয় রাসূলুল্লার থেকে বর্ণিত। চাই সেগুলো তাঁর বচন হোক , কর্ম হোক, অনুমোদন হোক কিংবা দৈহিক বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা হোক।


🔷 بدعة -এর পরিচয়:

🔹بدعة আভিধানিক অর্থে–

☆ بدعة শব্দটি বাবে فتح-এর মাসদার। নমুনা ছাড়া কোন কিছু তৈরি করা, ধর্মে নতুন খিছু আবিষ্কার করা


🔹بدعة পারিভাষিক অর্থে– 

☆ ইমাম শাফি রহ. -এর মতে,

البدعة هو ما يخالف الكتاب والسنة والأثر

বিদআত এমন অভিনব প্রবর্তিত রীতিনীতিকে বলা হয় যা কোরআন-সুন্নাহ ও ইজমার বিরোধী

☆ ইমাম নববি রহ এর মতে,

البدعة كل شيء عُمِلَ على غير مثال سبق و في الشرع إحداث ما لم يكن في عهد النبي صلى الله عليه وسلم

বিদআত বলা হয় এমন কার্যকলাপকে যার পূর্ব দৃষ্টান্ত নেই। পরিভাষায় বলা হয়– ধর্মের নামে এমন কিছু আবিষ্কার করা যা নবীজি সা.-এর যুগে ছিল না।


💖 ১৯১ নং হাদীস

☆ عن ابن مسعود أنّ رسول اللہ ﷺ قال : " ضرب الله مثلا صراطا مستقيما وعن جنبتي الصراط سوران فيهما أبواب مفتحة وعن ابن وعلى الأبواب ستور مرخاة وعند رأس الصراط داع يقول : استقيموا على الصراط ولا تَعْوَجُّوا وفوق ذلك داع يدعو كلما هَمَّ عبد أن يفتح شيئا من تلك الأبواب قال : ويحك لا تفتحه فإنك إن تفتحه تَلِجْه" ثم فسّره . (صـ٣١)

--------------------------------------------

🔶 قوله "ثم فسّره" بماذا فسّر النبی ﷺ ؟ بين موضحا. (صـ٣١)

🔷 রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ব্যাখ্যা

🔹 রাসুলের ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহ ﷺ ব্যাখ্যা করলেন এবং খবর দিলেন যে , সরল রাস্তা হলো ইসলাম । আর খোলা দরজাসমূহ আল্লাহ কর্তৃক হারাম করা বিষয়সমূহ । আর ঝুলানো পর্দাসমূহ হলো অল্লাহর নির্ধারিত সীমাসমূহ । আর রাস্তার মাথায় আহবায়ক হচ্ছে কুরআন । আর তার সম্মুখে আহবায়ক হচ্ছে আল্লাহর [সে উপদেশদাতা যা প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে রয়েছে। সে তাকে কুরআনের উপদেশ শোনার জন্য উপদেশ দেয়] (রাযীন) 

আহমদ তাঁর মুসনাদে এবং ইমাম বায়হাকী তাঁর শু'আবুল ঈমানে নাওয়াস ইবনে সামআন এর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন । আর ইমাম তিরমিযীও তারই সূত্রে হাদীসটি সংক্ষিপ্তকারে বর্ণনা করেছেন।

Post a Comment

0 Comments