দু/দূ -এর সঠিক ব্যবহার
দু/দূ নিয়েও দুর্গতিতে পড়তে হয় আমাদের। সহজ নিয়মটা জেনে নিলে ভুলের দূরত্বটা কমে আসবে আশা করি।
১.দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে 'দুর' হবে। যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।
২.দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে ‘দূর’ হবে। যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।
স্ত/স্থ ব্যবহার নিয়ম
১.যেসব শব্দের শেষ থেকে 'স্ত' বা 'স্থ' ফেলে দিলেও পূর্ণ অর্থবোধক শব্দ বহাল থাকে, সেসব শব্দের শেষে 'স্থ' হবে । যেমন— মুখস্থ, মধ্যস্থ, নিকটস্থ, মনস্থ ইত্যাদি। এগুলো থেকে 'স্থ' ফেলে দিলেও পূর্ণ অর্থবোধক শব্দ বহাল থাকে।
যেমন— মুখ, মধ্য, নিকট, মন।
অনুরূপ যন্ত্রস্থ, তটস্থ, গর্ভস্থ, ধাতস্থ, বক্ষস্থ, কণ্ঠস্থ, অসুস্থ, সভাস্থ, শীর্ষস্থ, আত্মস্থ, অস্তস্থ, ক্রোড়স্থ, সমাধিস্থ, পদস্থ, ঢাকাস্থ, গৃহস্থ, দ্বারস্থ ইত্যাদি শব্দগুলোর শেষ থেকে যদি 'স্থ' ফেলে দেয়া হয় তাহলেও প্রতিটি শব্দই পূর্ণ অর্থবোধক শব্দ হিসেবে বহাল থাকবে।
২.যেসব শব্দের শেষ থেকে 'স্ত' বা 'স্থ' ফেলে দিলে পূর্ণ অর্থবোধক শব্দ বহাল থাকে না, সেসব শব্দের শেষে 'স্ত' হবে। যেমন– ক্ষতিগ্রস্ত শব্দ থেকে 'স্ত' বাদ দিলে থাকে 'ক্ষতিগ্র' যা কোন অর্থবোধক শব্দ নয়। অনুরূপ আশ্বস্ত, অভ্যস্ত, বিন্যস্ত, সন্ত্রস্ত, বিপর্যস্ত ইত্যাদি।
এ জাতীয় শব্দ থেকে 'স্ত' কে ফেলে দিলে শব্দের কোনো অর্থ থাকে না।
0 Comments