মিশকাতের মুকাদ্দামা: ২য় অংশ


মিশকাতের মুকাদ্দামা

মিশকাতের মুকাদ্দামা: ২য় অংশ

প্রথম অংশ দেখতে ক্লিক করুন


ثم إنك إن فَقَدتَّ حديثا في باب؛ فذلك عن تكرير أُسْقِطُه. وإن وجدت آخرَ بغضَه متروكا على اختصاره، أو مضموما إليه تمامُه؛ فعن داعي اهتمام أَتْرُكُهٗ وأُلْحِقُهٗ. 

অতঃপর তুমি যদি [ইমাম বাগাবী রহ.-এর সংগৃহীত] কোন হাদীস [আমার গ্রন্থের] কোন বাব বা অধ্যায়ে না পাও, তাহলে মনে করতে হবে যে, অন্য কোন অধ্যায়ে এরূপ হাদীস রয়েছে বলেই আমি তা বাদ দিয়েছি। আবার যদি পাও, হাদীসের কোন অংশবিশেষ সংক্ষিপ্ততার কারণে বাদ দিয়েছি। অথবা পূর্ণতার লক্ষ্যে কোন অংশ বৃদ্ধি করেছি, তাহলে বুঝতে হবে প্রয়োজনবোধেই এরূপ সংযোজন ও বিয়োজন করেছি।


وإن عثرت على اختلاف في الفصلين من ذكر غير الشيخين في الأول، وذكرهما في الثاني؛

এছাড়া ইমাম বাগাবী রহ. এর সাথে আমার যদি এরূপ কোন মতভেদ দেখা যায় যে, আমি প্রথম পরিচ্ছেদে শায়খাইন ব্যতীত অন্য কারো [নামের] উদ্ধৃতি দিয়েছি অথবা দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে শায়খাইনের মধ্যে কারো নাম উল্লেখ করেছি।


فاعلم أنّى بعد تتبعي كتابَىِ «الجَمْعِ بين الصَحِيْحَيْنِ» للحميدي، و «جامع الأصول»؛ اعْتَمَدْتُّ على صحيحَيِ الشَّيخين ومَتْنَيْهِما. 

তাহলে যেনে রেখো, আমি হুমাইদী'র "আল জাম্‌'উ বাইনাস্ সহীহাইন"  এবং "জা-মি'উল উসূল" গ্রন্থদ্বয় পর্যবেক্ষণের পর কেবল শায়খাইনের সহীহ কিতাবদ্বয় [বুখারী ও মুসলিম] এবং তার মূল মতনের উপরই নির্ভর করেছি।


وإن رأيت اختلافا في نفس الحديث؛ فذلك مِنْ تَشَعُّبِ طُرُقِ الأحاديْثِ، ولعلي ما اطلعت على تلك الرواية التي سلكها الشيخ رضي الله عنه. 

আর যদি তুমি মূল হাদীসেই কোন প্রকার মতভেদ দেখতে পাও, তাহলে তা হাদীসের সনদের বিভিন্নতার কারণেই হয়েছে। সম্ভবত ইমাম বাগাবী রহ. যে রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছেন আমি তা অবগত হইনি।


وقليلًا ما تجد أقول : ما وجدت هذه الرواية في كتب أو وجدتُ خلافَهَا فِيْهَا. 

এরূপ স্থান খুব কমই দেখতে পাবে, যেখানে আমি বলেছি, এটা হাদীসের কোন প্রসিদ্ধ কিতাবে পাইনি অথবা এর বিপরীত পেয়েছি।


فإذا وقفت عليه فَانْسُبِ القصورَ إليَّ لِقِلَّةِ الدِّرَايَةِ، لا إلى جَنابِ الشيخ - رفع الله قَدْرَهٗ في الدارين - حاشا لله من ذلك.

যখন কোথাও এরূপ দেখতে পাবে তখন দোষত্রুটি আমার দিকেই ফিরিয়ে দেবে যে, আমার জ্ঞান স্বল্পতার কারণেই এরূপ হয়েছে। দোষ ইমাম বাগাবী রহ.-এর দিকে ফিরাবে না -আল্লাহ তায়ালা উভয় জাহানে তাঁর মর্যাদা উঁচু করুন- শায়খের দিকে এ ধরণের নিসবত করা থেকে আল্লাহর পানাহ!


رحِم الله مَنْ إذا وقف على ذلك نَبَّهَنَا عليه ، وأرْشَدَنَا طريقَ الصواب. ولم آل جُهْدًا في التنقير والتفتيش بقدر الوُسْعِ والطاقَةِ، 


আল্লাহ ঐ বান্দার প্রতি অনুগ্রহ করুন যে এরূপ সনদ অবগত হয়ে আমাকে তা অবহিত করবে এবং সঠিক পথ দেখাবে। অবশ্য আমিও আমার সাধ্য ও সামর্থ‍্য অনুযায়ী তাহকীক ও অনুসন্ধানের কাজে চেষ্টার ত্রুটি করিনি।


ونقلتُ ذلك الاختلافَ كما وجدتُّ. وما أشار إليه رضي الله عنه من غريب أو ضعيف أو غيرهما؛ بَيّنْتُ وجهَه غالبا، 

وما لم يُشِرْ إليه مما في الأصول ؛ فقد قفَّيتُه في تركه ، إلا في مواضع لغرضٍ . 


আর এ [হাদীস বর্ণনার] ক্ষেত্রে আমি রিওয়ায়াতের ভিন্নতা যেভাবে পেয়েছি সেভাবে বর্ণনা করেছি। 

আর তিনি যেসব হাদীসের ব্যাপারে ‘গারীব 'অথবা' যা'ঈফ ' ইত্যাদির দিকে ইশারা করেছেন, অধিকাংশ স্থানে আমি তার কারণ বর্ণনা করেছি। 

আর যেসব হাদীসকে প্রসিদ্ধ কিতাবসমূহে ‘গারীব’, ‘যা'ঈফ' বলা সত্ত্বেও তিনি তার প্রতি কোনো প্রকার ইঙ্গিত করেননি আমি তাতে তার অনুসরণ করেছি। তবে কোনো কোনো স্থানে প্রয়োজনবোধে এর ব্যতিক্রমও করেছি। 


وربما تجد مواضع مُهْملةً، وذلك حيث لم أَطَّلِعُ على روايةٍ فتركتُ البياضَ، فإن عَثَرْتَ عليه فأَلْحِقْهُ به، أحسن الله جزاءك. 

আর কোনো কোনো স্থানে এরূপও দেখতে পাবে, সেখানে আমি কারো উদ্ধৃতি দেইনি; তার কারণ এই যে, আমি কোথাও এর বর্ণনাকারীর সন্ধান পাইনি। ফলে আমি স্থানটি খালি রেখে দিয়েছি। আপনি যদি তার সন্ধান পান, [অনুগ্রহপূর্বক] আপনি যথাস্থানে তা যুক্ত করে দিন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

[অবশ্য পরবর্তী মুহাদ্দিসগণ উদ্ধৃতি দিয়ে এ সকল শূন্যতা পূর্ণ করে দিয়েছেন]


وسميت الكتاب . بـ « مشكاة المصابيح » وأسأل الله التوفيق والإعانةَ والهدايةَ والصِّيانةَ وتيسيرَ ما أَقْصُدُهٗ، 

আমি এ কিতাবের নামকরণ করেছি– 'মিশকাতুল মাসাবীহ' নামে। আমরা আল্লাহর নিকট তাওফীক্ব, সাহায্য, হিদায়াত, নিরাপত্তা ও আমাদের উদ্দেশ্যের সহজতা প্রার্থনা করছি, 


وأن يَّنْفَعَنِيْ في الحياة وبعدَ المماتِ، وجميعَ المسلمين والمسلمات، حسبي الله ونعم الوكيل، ولا حول ولا قوة إلا بالله العزيز الحكيم.

তিনি যেন এর দ্বারা আমার এবং সমস্ত মুসলমান নর-নারীর ইহকালে ও পরকালে কল‍্যাণ সাধন করেন। আমীন! আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক! মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া কারো কোনো শক্তি ও সামর্থ্য নেই ।


Post a Comment

0 Comments