উত্তরপত্র। সহীহ বুখারী ২য় খণ্ড। কেন্দ্রীয় পরীক্ষা : ১৪৪০ হিজরি/২০১৯ ইং

কেন্দ্রীয় পরীক্ষা : ১৪৪০ হিজরি/২০১৯ ইং সালের প্রশ্নোত্তর/বুখারি সানী


 السؤال الثاني :

☆ ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﺷِﻬَﺎﺏٍ، ﻗَﺎﻝَ: ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ ﺃَﺑُﻮ ﺳَﻠَﻤَﺔَ، ﺃَﻥَّ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﺗْﻪُ: ﺃَﻥَّ ﺃَﺑَﺎ ﺑَﻜْﺮٍ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋنه ﺃَﻗْﺒَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﻓَﺮَﺱٍ ﻣِﻦْ ﻣَﺴْﻜَﻨِﻪِ ﺑِﺎﻟﺴُّﻨْﺢِ، ﺣَﺘَّﻰ ﻧَﺰَﻝَ ﻓَﺪَﺧَﻞَ اﻟﻤَﺴْﺠِﺪَ، ﻓَﻠَﻢْ ﻳُﻜَﻠِّﻢُ اﻟﻨَّﺎﺱَ ﺣَﺘَّﻰ ﺩَﺧَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻓَﺘَﻴَﻤَّﻢَ ﺭَﺳُﻮﻝَ اﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻫُﻮَ ﻣُﻐَﺸًّﻰ ﺑِﺜَﻮْﺏِ ﺣِﺒَﺮَﺓٍ، ﻓﻜﺸﻒ ﻋَﻦْ ﻭﺟﻬﻪ ﺛُﻢَّ ﺃَﻛَﺐَّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻘَﺒَّﻠَﻪُ ﻭَﺑَﻜَﻰ، ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ: «ﺑِﺄَﺑِﻲ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﺃُﻣِّﻲ، ﻭَاﻟﻠَّﻪِ ﻻَ ﻳَﺠْﻤَﻊُ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻣَﻮْﺗَﺘَﻴْﻦِ ﺃَﻣَّﺎ اﻟﻤَﻮْﺗَﺔُ اﻟَّﺘِﻲ ﻛُﺘِﺒَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﻓَﻘَﺪْ ﻣُﺘَّﻬَﺎ»

ﻗَﺎﻝَ اﻟﺰُّﻫْﺮِﻱُّ: ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺃَﺑُﻮ ﺳَﻠَﻤَﺔَ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﺃَﻥَّ ﺃَﺑَﺎ ﺑَﻜْﺮٍ ﺧَﺮَﺝَ ﻭَﻋُﻤَﺮُ ﺑْﻦُ اﻟﺨَﻄَّﺎﺏِ ﻳُﻜَﻠِّﻢُ اﻟﻨَّﺎﺱَ ﻓَﻘَﺎﻝَ: اﺟْﻠِﺲْ ﻳَﺎ ﻋُﻤَﺮُ، ﻓَﺄَﺑَﻰ ﻋُﻤَﺮُ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﻠِﺲَ، ﻓَﺄَﻗْﺒَﻞَ اﻟﻨَّﺎﺱُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ، ﻭَﺗَﺮَﻛُﻮا ﻋُﻤَﺮَ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮٍ: " ﺃَﻣَّﺎ ﺑَﻌْﺪُ…

صفحة نمبر : ٦٤٠

حديث نمبر : ٤٢٧١

------------------

(أ) شكل وترجم مع ذكر ما قال أبو بكر للناس .

(ب) متى بُدِئَ مرض النبي ﷺ وكم كان مدته وفي أي يوم مات وفي أي وقت وفي أي يوم دُفن؟

(ج) أوضح قول أبي بكر هه "والله لا يجمع الله عليك مرتين".

(د) ما كانت كيفية الصلاة على رسول الله ﷺ؟

--------------------------------------------

প্রশ্ন

(ج) شکل و ترجم مع ذكر ما قال أبو بكر يه للناس .

(ج) হরকত দাও ও অনুবাদ করে হযরত আবূ বকর (রা.) লোকদেরকে কি বলেছিলেন তা উল্লেখ কর।

উত্তর

অনুবাদ :

হযরত আয়েশা (রা.) জানিয়েছেন, আল্লাহর রাসূল ইন্তেকালের পর হযরত আবূ বকর (রা.) ঘোড়ায় চড়ে তাঁর বাড়ি সুনাহ থেকে মদিনায় এলেন। ঘোড়া থেকে নেমেই তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন। তিনি কারো সাথে কোনো কথা না বলে আয়েশার গৃহে প্রবেশ করলেন। তিনি আল্লাহর রাসূল সা.-এর দিকে এগিয়ে গেলেন। তাঁকে ইয়ামানী তাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। হযরত আবূ বকর (রা.) তাঁর চেহারা থেকে চাদর সরিয়ে তাঁর উপর ঝুঁকে পড়ে চুমো খেলেন এবং কাঁদলেন। অতঃপর বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আল্লাহর শপথ! অবশ্যই আল্লাহ আপনাকে দু'বার মৃত্যু দান করবেন না। একবার মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল এবং তা আপনি বরণ করে নিয়েছেন। যুহরী বলেন, আবূ সালামা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর সূত্রে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, আবু বকর বাইরে বের হয়ে দেখলেন ওমর লোকদের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছেন। তিনি বললেন, হে ওমরা বসে পড়ো। কিন্তু হযরত ওমর রা. বসতে অস্বীকার করলেন। ফলে লোকেরা ওমরকে ত্যাগ করে আবু বকরের চারদিকে জমায়েত হয়ে গেল। হযরত আবূ বকর (রা.) বক্তৃতা শুরু করলেন। পর সমাচার…


☆ হযরত আবু বকর (রা.) লোকদেরকে বলেছিলেন:

🔹" ﺃَﻣَّﺎ ﺑَﻌْﺪُ ﻓَﻤَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻳَﻌْﺒُﺪُ ﻣُﺤَﻤَّﺪًا ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻓَﺈِﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًا ﻗَﺪْ ﻣَﺎﺕَ، ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻳَﻌْﺒُﺪُ اﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺈِﻥَّ اﻟﻠَّﻪَ ﺣَﻲٌّ ﻻَ ﻳَﻤُﻮﺕُ، ﻗَﺎﻝَ اﻟﻠَّﻪُ: {ﻭَﻣَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ ﺇِﻻَّ ﺭَﺳُﻮﻝٌ ﻗَﺪْ ﺧَﻠَﺖْ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻪِ اﻟﺮُّﺳُﻞُ} الخ

"অর্থ: তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর ইবাদত করতে, জেনে রাখ যে, আল্লাহ জীবিত, তাঁর উপর মৃত্যু আসতে পারে না। আর তোমাদের মধ্যে যারা মুহাম্মদ সা.-এর ইবাদত করতে। (যদি ধরে নেওয়া হয়।) তাহলে তারা জেনে রাখ যে, মুহাম্মদ মৃত্যুবরণ করেছেন। 


আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন- মুহাম্মদ হচ্ছেন, আল্লাহর একজন রাসূল, তাঁর পূর্বে অনেক রাসূল অতিবাহিত হয়েছেন। তিনি যদি ইন্তেকাল করেন অথবা শাহাদাত বরণ করেন, তাহলে কি তোমরা ইসলাম ত্যাগ করবে? যে ব্যক্তি ইসলাম থেকে ফিরে যাবে সে আল্লাহ তা'আলার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। তবে যারা আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবে অবস্থান করবে তিনি তাদেরকে তার প্রতিদান দিবেন।


প্রশ্ন

(ب) متى بُدِئَ مرض النبي ﷺ وكم كان مدته وفي أي يوم مات وفي أي وقت وفي أي يوم دُفن؟

(ب) নবী সা.-এর অসুস্থতা কবে শুরু হয়, এর মেয়াদকাল কতদিন ছিল? কোনদিন কখন মৃত্যুবরণ করেন এবং কোন দিন তাঁকে দাফন করা হয়?


উত্তর

☆ নবী এর অসুস্থতার সূচনা:

🔹সফর মাসের শেষ বুধবার রোগের সূচনা হয়। এদিনটি ছিল উম্মুল মু'মিনীন হযরত মায়মুনা (রা.)-এর সাথে রাত্রি যাপনের দিন। রোগ বৃদ্ধি পেলে তিনি স্ত্রীদের থেকে অনুমতি নিয়ে হযরত আয়েশা (রা.)-এর কক্ষে স্থানান্তরিত হন, এবং পরবর্তী সোমবার পর্যন্ত হযরত আয়েশা (রা.)-এর কক্ষেই অবস্থান করেন।


☆ অসুস্থতার মেয়াদকাল:

🔹নবী করীম -এর রোগের মেয়াদ সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে, অধিকাংশের মত হলো ১৩ দিন। -ফাতহুল বারী তবে কারো কারো মতে ১৪ দিন ।


☆ মৃত্যুদিবস: সোমবার রবিউল আউয়ালের বারো তারিখ। 

☆ মৃত্যুর সময়: বেলা যখন বাড়ছিল তখন, সিরাতের কিতাবে এসেছে– حِيْنَ اشتدَّ الضُّحٰى (যখন ভালো করে সকাল হয়েছে)


☆ তাঁর দাফনের দিন: 

🔹১৪ই রবিউল আউয়াল ১১ হিজরি বুধবার হযরত আয়েশা রা.-এর হুজরাতে সমাহিত হন। এটাই জমহুর উলামায়ে কেরামের অভিমত। তবে কেউ কেউ বলেন, ১৩ই রবিউল আউয়াল মঙ্গলবার রাসূল সা. -কে দাফন করা হয়।


প্রশ্ন

(ج) أوضح قول أبي بكر رض ـ "والله لا يجمع الله عليك مرتين"

(গ) হযরত আবূ বকর (রা.)-এর উক্তি -এর ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর

☆ "والله لا يجمع الله عليك مرتين"-এর ব্যাখা:

🔹আল্লাহর শপথ। অবশ্যই আল্লাহ আপনাকে দু'বার মৃত্যু দান করবেন না। এটি হলো হযরত আবূ বকর (রা.)-এর উক্তি, যা তিনি নবী করীম সা.-এর ইন্তেকালের মুহূর্তে করেছিলেন। উক্তিটির কয়েকটি ব্যাখ্যা হতে পারে। যা নিম্নরূপ–

☆ এর দ্বারা হযরত ওমর (রা.)-এর ঐ কথা প্রত্যাখ্যান করা উদ্দেশ্য যা তিনি নবী করীম সা.-এর মৃত্যুকে অস্বীকার করে বলেছিলেন যে, 'আল্লাহ তা'আলা নবীকে পুনর্জীবিত করবেন, এরপর তিনি মুনাফিকদের হাত পা কেটে দিবেন। সুতরাং হযরর আবূ বকর (রা.) তাঁর এ কথাকে প্রত্যাখ্যানস্বরূপ বলেছেন, দুনিয়াতে তাঁর মৃত্যু একবারই হবে।

☆ কেউ কেউ বলেন, কবরে তিনি দ্বিতীয়বার মৃত্যুবরণ করবেন না। যেমনটা কাফের ও মুনাফিকদের ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে সওয়াল-জাওয়াবের জন্য তাদের প্রাণকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং পুনরায় তাদেরকে মৃত্যু দান করা হবে। 

☆ দাউদী বলেছেন যে, এর অর্থ হলো আল্লাহ তা'আলা একত্র করবেন না এই মৃত্যুর যন্ত্রণা এবং পরকালের শাস্তি। 

☆ ইবনে তিন বলেছেন দ্বিতীয় মৃত্যু দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শরিয়তের মৃত্যু। অর্থাৎ, যদিও তাঁর মৃত্যু এসে গেছে কিন্তু তাঁর শরিয়তের মৃত্যু কখনো হবে না; বরং তা কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ থাকবে। -[উমদাতুল কারী]


প্রশ্ন

(د) ما كانت كيفية الصلاة على رسول الله ﷺ؟

(د) রাসূলুল্লাহ সা.-এর জানাযার নামাজ কিভাবে পড়া হয়?

উত্তর

রাসূল সা.-এর জানাযায় কেউ ইমামতি করেননি; বরং জানাযা হযরত আয়েশা রা.-এর হুজরার ভিতর রাখা ছিল, সাহাবাগণ দলে দলে হুজরার ভিতরে প্রবেশ করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে জানাযার নামাজ পড়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। 

-সীরাতে মুস্তফা

Post a Comment

0 Comments